আইলার সাত বছর : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন কার্যকরের দাবি
Daily Prothom Alo
০১:৪১, মে ২৫, ২০১৬
----------------------
০১:৪১, মে ২৫, ২০১৬
----------------------
সাত বছর পেরিয়ে গেলেও খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলার দুর্গত সাড়ে তিন হাজার মানুষের দুর্ভোগ আজও কাটেনি। তারা এখনো বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করছে। ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে তাদের বসতঘর ও জমি বিলীন হয়ে যায়। এত দিনেও সেই বাঁধ সংস্কার করা হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা পাঁচটি উন্নয়ন সংস্থা এই তথ্য জানায়। তারা বলেছে, এ অবস্থায় নতুন কোনো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে কোনোভাবেই উপকূলের মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা করা যাবে না। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদ রক্ষায় ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ আইনটি কার্যকর করা দরকার বলে তারা মত দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আইলার ৭ বছর উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পড়ে শোনান ‘উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্ম জোট (ক্লিন)’-এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী।
২০০৯ সালের ২৫ মে খুলনা উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। এতে ১৯৭ জন নিহত হয়, আহত হয় ৭ হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে খুলনা ও সাতক্ষীরার ৭১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে দেড় লাখ একর জমি প্লাবিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১২ সালের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ আইনে বেড়িবাঁধের ক্ষতি করার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও আইনটি কার্যকর হয়নি। এ কারণে এখনো বেড়িবাঁধ কেটে বা ছিদ্র করে নোনাপানি ঢোকানো হচ্ছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে বাঁধ।
অবিলম্বে প্রয়োজনীয় বিধিমালা ও দাপ্তরিক আদেশ জারি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন কার্যকর করা, আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ভূমিহীন পরিবারগুলোকে খাস জমি বিতরণ ও পুনর্বাসন করা, বেড়িবাঁধগুলো পরিবেশসম্মত উপায়ে আরও শক্তিশালী করা এবং কৃষিজমিতে নোনা পানির চিংড়ি ঘের বন্ধ করা ও সমন্বিত উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা নীতি (আইসিজেডএমপি) অনুসরণ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয় এ সংবাদ সম্মেলনে।