দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন’র প্রয়োগ না হওয়ায় সাত বছরেও দুর্ভোগ কাটেনি আইলা দুর্গতদের টেকসই হয়নি বেড়িবাঁধ
Sundarban Samachar,
সর্বনাশা আইলা’র ৭ বছর পূর্তি হ’ল আজ।
২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা আঘাত হানে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে।
দীর্ঘ সাত বছর পার হয়ে গেলেও সমন্বয় হিনতা ও নতুন আইন প্রয়োগ না করায় দাকোপ
ও কয়রার সাড়ে ৩ হাজার দুর্গত জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ আজও কাটেনি। বেড়িবাঁধ
ভেঙে পানির তোড়ে ঘরবাড়ি-জমিজমা বিলীন হয়ে যাবার পর বাধ্য হয়ে এসব পরিবার
বাস করছে বেড়িবাঁধের উপর। আবার সেই বেড়িবাঁধ কেটে ও ফুটো করে বেড়িবাঁধের
আশ্রয়টুকুও কেড়ে নিতে নোনাপানি ঢোকানো হচ্ছে নোনাপানির চিংড়ি চাষের জন্য।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকলেও
যাদের হাতে ব্যবস্থা তারা চুপ!
২০১২ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনটি
কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করে উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্লিন’র প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী। লিখিত
বক্তব্যে তিনি বলেন, আইলার পর সাত বছর পার হয়ে গেলেও উপকূলীয় বেড়িবাঁধ
সংস্কার না করায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে কোনো ভাবেই উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর
জীবন-জীবিকা রক্ষা করা যাবে না। তিনি বলেন, ২০১২ সালের দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা আইনে বেড়িবাঁধের ক্ষতি করার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির বিধান
থাকলেও আইনটি কার্যকর না হওয়ায় যত্রতত্র বেড়িবাঁধ কেটে বা ফুটো করে
নোনাপানি ঢোকানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে
প্রয়োজনীয় বিধিমালা ও দাপ্তরিক আদেশ জারি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন
কার্যকর করা,আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ ও ভূমিহীন পরিবারগুলোকে খাসজমি বিতরণ ও
অন্যান্য সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসন করা, উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলো পরিবেশসম্মত
উপায়ে আরো শক্তিশালী করা, কৃষিজমিতে নোনাপানির চিংড়িঘের বন্ধ করা ও সমন্বিত
উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা নীতি (আইসিজেডএমপি) অনুসরণ বাধ্যতামলূক করাসহ ছয় দফা
দাবিনামা উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন ক্লিন’র চেয়ারপার্সন সাজ্জাদুর রহিমপান্থ, এ্যাওসেড’র
নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফিন, পরিবর্তন-খুলনা’র নির্বাহী পরিচালক নাজমুল
আযম ডেভিড, বলা’র বিভাগীয় সমন্বয়কারীমাহফুজুর রহমান মুকুল,
বিপ্লবীওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সংগঠক মনিরুল হক বাচ্চু, ক্লিন’র সুবর্ণা
ইসলাম দিশা, নাসিম রহমান কিরণ প্রমূখ।